মূল সড়কের ধারেই ফেলা হচ্ছে রাইস মিলের ছাই : দুর্ঘটনার আশঙ্কা বর্ধমান আরামবাগ রাস্তায়

30th September 2020 12:03 pm বর্ধমান
মূল সড়কের ধারেই ফেলা হচ্ছে রাইস মিলের ছাই : দুর্ঘটনার আশঙ্কা বর্ধমান আরামবাগ রাস্তায়


বাচ্চু সামন্ত ( বর্ধমান ) : রাইস মিল থেকে ছাই প্রতিদিন ফেলে দেওয়া হচ্ছে মূল সড়কের ধারে । হাওয়াতে সেই ছাই যেমন উড়ছে তেমনি দ্রুত গতিতে যানবাহন যাতায়াত করলেও ছাই উড়ছে । মটোরবাইক , টোটোচালক , সাইকেল আরোহী থেকে শুরু করে পথ চলতি মানুষজন মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ছেন দিনের পর দিন । প্রকাশ‍্য দিবালোকে মিল থেকে ট্রাকটরে করে ছাই এনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বর্ধমান আরামবাগ রাস্তার ধারে । সগড়াই মোড় সংলগ্ন গোপালপুর এলাকায় এইভাবে ফেলা হচ্ছে ছাই । শুধু তাই নয় জল নিকাশী নালাও বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে ছাই ফেলে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । অত‍্যন্ত ব‍্যস্ততম বর্ধমান আরামবাগ রাস্তা । সারাদিন ট্রাক , বাস সহ শয়ে শয়ে যানবাহনের যাতায়াত দ্রুতগতিতে । রাস্তার পাশেই ছাই এর স্তুপ । গাড়ির হাওয়ায় তা চোখে মুখে এসে লাগছে অনান‍্য যানবাহনের চালক সহ যাত্রীদের বলে অভিযোগ । ছাই যে ভাবে ফেলা হচ্ছে রাস্তার ধারে তা কিছু অংশ চলে আসছে রাস্তার উপরেও । ফলে আরো বিপদ বাড়ছে । যে কোন সময় পথ চলতি মানুষ বা ছোটো যানবাহনের চালক বিপদের কবলে পড়তে পারেন । অবিলম্বে স্থান পরিবর্তনের দাবী তুলছেন সকলেই । ব‍্যস্ততম রাস্তার ধারে এইভাবে ছাই ফেলা বন্ধ হোক বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীও । সামগ্ৰিক বিষয় সম্পর্কে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন , এই বিষয়ে এখনো কেউ কিছু জানাননি । তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।